সমাজ আমাদের মূল ভিত্তি। প্রতিটি মানুষের বেড়ে ওঠার প্রধান দায়িত্ব পালন করে আমাদের সমাজ। সুতরাং সমাজের উন্নয়ন ব্যতিত মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সমাজের উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিম বালিখা গ্রাম সমিতির সদস্যবৃন্দ। গ্রামের যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেছে গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প। যার আওতায় বালিখা গ্রাম সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমাদের প্রতিটি গ্রামের প্রধান সমস্যা হল অবকাঠামোগত সমস্যা। এই সমস্যা মানুষের সামাজিক উন্নয়নকে ব্যহত করছে প্রতিনিয়ত। গ্রামীণ অর্থনীতি হচ্ছে বাধাগ্রস্থ। বালিখা গ্রাম সমিতি এই সমস্যা সমাধানে গড়ে তুলেছে ‘সামাজিক উন্নয়ন তহবিল’। গ্রামের ১৫ জন যুব সদস্য গড়ে তুলেছে এই তহবিল। এই তহবিলের অধীনে এগিয়ে চলেছে গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প। হতদরিদ্র গ্রামবাসীর জন্য তাঁরা তৈরি করেছে রাস্তা যা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ গ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি যুবদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে সামাজিক উন্নয়ন তহবিল। ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির জন্য গড়ে তুলেছে সমবায় তহবিল যার আওতায় কাজ করে লাভবান হচ্ছে যুবকরা, একই সাথে সামাজিক উন্নয়ন তহবিল হচ্ছে শক্তিশালী। সামাজিক উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে সমাজের নারীরা। তাঁদের উন্নয়ন ব্যতীত সমাজের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। এই সব নারীরা বেশিরভাগ সামাজিক উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে আছে। বেশিরভাগ নারী এখনো শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। সামাজিক উন্নয়ন তহবিল তাঁদের জন্য শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সমিতির উদ্যোগে গ্রামের ১২০ জন নারী তাঁদের স্বাক্ষরতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বালিখা গ্রাম সমিতি তাঁদের সামাজিক উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে নির্মান করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। ফলে দুর্যোগ কালীন সময়ে মানুষ পাচ্ছে আশ্রয় এবং সহায়তা। আর এর সার্বিক সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রাণালয়ের প্রজেক্ট।
বালিখা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রাউফুল ইসলাম। তিনি নিজ দায়িত্বে সংগঠনটি পরিচালনা করেন। পাশাপাশি অন্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বালিখা গ্রাম সমিতি সমাজের আর্থসামাজিক এবং জীবনমান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।